তিস্তা নদীর উপর ৮০'র দশকে তৈরি সেচ প্রকল্পের ক্যানেল এর মূল ধারা নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার সীমান্তে সাজ্জান নামক স্থানের মধ্য দিয়ে পার হওয়ার সময় ছোট বড় কিছু নদীর মুখে পরে, এর মধ্যে আন্তর্জাতিক নদী বুড়ীতিস্তা যা তিস্তার আদিপ্রাণ।
পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে গিয়েও এই নদীটি বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তিস্তা সেচ ক্যানেলের।
নদীকে তো আর বাঁধা যায়না! ইঞ্জিনিয়াররা এক্ষেত্রে নদীকে জায়গা করে দিতে পরিকল্পনা আটলো নদীকে আগেই ছাড় দিতে হয়। তাই বুড়ীতিস্তার জন্য তৈরি হলো রিভার ব্রীজ, যা উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যায় সেক্ষেত্রে নদী নিচে থাকে, কিন্তু বুড়ীতিস্তার ক্ষেত্রে উল্টো। ব্রীজ তৈরী হয় এবং তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় খোদ বুড়ীতিস্তা। আর নিচ দিয়ে চলতে থাকে ক্যানেল। যেহেতু ক্যানেল ধরে বাইপাস ওয়ে তাই বুড়ীতিস্তার উপর আরেকটি ব্রীজ। তথাপি রিভার ব্রীজের ওপর আরেকটা বাইপাস ব্রীজ।
আপনাদের সুবিধার জন্য হাতে আঁকা একটি ড্রাফ দিয়েছি।
সেসময় তিস্তা সেচ প্রকল্পের জন্য সৌদি আরব ব্যাংক ২৫০০ কোটি টাকা অর্থ সহায়তা দেয়। সবমিলিয়ে প্রায় ৬শ কিলোমিটার ক্যানেল ও সড়কে এমন বেশকিছু ইঞ্জিনিয়ারিং বিষ্ময় রয়েছে।
এবারেই একনেক বরাদ্দ দিয়েছে ১৪০০ কোটি টাকা, দেখা যাক আবারো কতটা সাজিয়ে ওঠে তিস্তা সেচ প্রকল্প।
0 মন্তব্যসমূহ